প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২৫, ১১:১৯
সিরিয়ায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মূলত সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সিরিয়া কর্তৃপক্ষের।
বুধবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বিবৃতিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ধরনের হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থির করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ দাবি করেছেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর জন্য সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে দায়ী করা হবে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী বাহিনী নিয়ে চালানো এক অভিযানে বাশার আল-আসাদের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন আহমেদ আল-শারা। এরপর থেকেই সিরিয়ায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে ছোড়া দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের খোলা জায়গায় আছড়ে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো পাল্টা হামলায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিরিয়ার সরকারি বার্তায় বলা হয়েছে, এই হামলা আমাদের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন এবং এটি গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিরিয়া কখনও এই অঞ্চলের জন্য হুমকি ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দক্ষিণ সিরিয়ার কুনেইত্রা ও দারা অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ওই এলাকা।
এই এলাকাগুলো ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির সন্নিকটে অবস্থিত। ১৯৭৬ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান দখল করে নেয় ইসরায়েল এবং সেখানে বসতি সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য গত মাসেও দামেস্কে সিরিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের কাছে বোমা হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, এই হামলার মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, দামেস্কের দক্ষিণে কোনও বাহিনী মোতায়েন হতে দেওয়া হবে না।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের পর ওই হামলাকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্য করুন: