বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে

তামাক ইস্যুতে উপদেষ্টা ফরিদা

গরুর যে বুদ্ধি আছে, সেটাও অনেক মানুষের নেই

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৩১ মে ২০২৫, ১৩:২৯

গরুর যে বুদ্ধি আছে, সেটাও অনেক মানুষের নেই বলে দাবি করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, গরু-ছাগল তামাক পাতা খায় না। অনেক মানুষ ক্ষতিকর জেনেও খায়। শনিবার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের দেশে পুরুষের সিগারেট খাওয়াকে স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছে। বড়দের সামনে এটাকে বেয়াদবি ধরা হয়। বর্তমানে ই-সিগারেটটা তো বৈধ করে ফেলা হয়েছে। এমনভাবে উপস্থাপন করে, যেন বাংলাদেশ সরকার তামাক কোম্পানির টাকায় চলে। এটা ভুল তথ্য। আমাদের সরকার জনগণের টাকায় চলে।

তিনি বলেন, আমাদের গরুর যে বুদ্ধি আছে, সেটাও অনেক মানুষের নেই। কারণ গরু-ছাগল তামাক পাতা খায় না।

এসময় তরুণদের প্রশংসা করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, যেই তরুণরা এত বড় সরকার হটিয়েছে তাদের টার্গেট করে তামাক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করবে, এটা হবে না। আমি আশা করি, আমাদের তরুণেরা তামাক কোম্পানির এই ধ্বংসযজ্ঞ রুখে দেবে।

তিনি বলেন, এই তামাক কোম্পানিগুলো তামাক চাষের জন্য নদীর পাড় বেছে নেয়। এতে মাছের প্রজনন কমছে। গরুপালনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের প্রজনন তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, সব নেশার মহা তোরণ হলো ধূমপান। তামাক কোম্পানিগুলো গবেষণা করে তাদের বাজার তৈরি করে। অথচ আমরা আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে তেমন উদ্যোগ নিতে পারছি না। ধুমপানবিরোধী লড়াইয়ের মূল ভূমিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বা পরীক্ষায় এই তামাক নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। পাঠ্যপুস্তকে একটা প্যারাগ্রাফও নেই। এটা দুঃখজনক।

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে তামাক কোম্পানির প্রভাব রাষ্ট্রের ওপর পড়েছে। এটার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্তি প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নুরজাহান বেগম। এতে আরও বক্তব্য দেন রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর প্রমুখ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর