বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে

ভারতে এবার বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিকদের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫, ১২:৩৩

ভারতে বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের পর এবার বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিকের চ্যানেলও বন্ধ করলো ইউটিউব। এই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব সম্প্রচার দেখা যাচ্ছে না ভারত থেকে।

গতকাল শনিবার তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব জানিয়েছিল, ভারতে ইউটিউবে ৬টি বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন, মোহনা, সময় ও ডিবিসি নিউজ। এছাড়া আমার দেশ পত্রিকার ইউটিউব চ্যানেলও সেখানে দেখা যাচ্ছে না। এবার জানা গেল এসব ইউটিউব চ্যানেল বন্ধের পর এখন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন প্রবাসী সাংবাদিকের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানে।

এর মধ্যে রয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য, ড. কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, জুলকারনাইন সায়ের ও শাহেদ আলমের ইউটিউব চ্যানেল (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। তারা জানিয়েছেন- ভারতে দেখা যাচ্ছে না তাদের ইউটিউব চ্যানেল। এ বিষয়ে তাদেরকে ইউটিউব থেকে যে মেইল করা হয়েছে- সেটিও তারা নিজেদের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, ভারতে এভাবে বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে। যদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, ভারতে এসব চ্যানেলের অনলাইন ঠিকানায় প্রবেশ করলে এই বার্তা দেখাচ্ছে যে- এটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯ (ক) ধারার অধীনে, সরকারের কাছে এমন অধিকার রয়েছে- যদি কোনও তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তবে সেটি বন্ধ করার নির্দেশনা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ তালিকায় ডন নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ ও জিও নিউজের মতো পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের নামও দেখা যায়। এমনকি এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলও। পাশাপাশি পাকিস্তানের অনেক ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর