বুধবার, ৪ঠা জুন ২০২৫, ২১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি
  • সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি
  • সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
  • বাস্তবমুখী মিত্যব্যয়ীতার বাজেট দেওয়া হয়েছে
  • ঈদে পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে সবার ছবি তোলা হবে

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৮ মে ২০২৫, ১৭:৫২

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ সাময়িকভাবে ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন আদালতে এই আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, তেজগাঁওয়ের মনিপুরি পাড়ায় ৫.৫৭ কাঠার ওপর নির্মিত ৩,৪০০ বর্গফুটের চারতলা ভবন, একই এলাকায় ৫.৭৬ শতক জমির দুটি প্লটসহ একটি পুরাতন ভবন, আরও ১.৩৪ শতক জমি এবং পল্লবীতে ১,৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আওতায় এসেছে।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে লুৎফুল তাহমিনা খানের নামে ছয়টি ব্যাংক হিসাব, যেখানে জমা রয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এছাড়া তার মালিকানাধীন দুটি কোম্পানির শেয়ারও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, লুৎফুল তাহমিনা খান প্রায় ১৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্ত্রীকে এই সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন, যা দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধ হিসেবে গণ্য।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, তাহমিনা নিজ নামে ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এই অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করে দুদক।

দুদক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, আসামিরা এসব সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা মামলার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করতে পারে। তাই সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব সম্পদ আপাতত ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর