বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

পুলিশের জন্য কেনা হবে ২০০ ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যান

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩

বাংলাদেশ পুলিশের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭২ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ-২০০৬ এর ৬৮(১) ও পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে তাতে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতিটি পিকআপের একক মূল্য ৮৬ লাখ টাকা হিসেবে ২০০টি পিকআপ ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৭২ কোটি টাকা।

বৈঠকে বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন টাঙ্গাইল কটন মিলসের ১.৩৬ একর জমি বিক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ‘টাঙ্গাইল কটন মিলস লি.’ ১৯৬১ সালে ২৭.২৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের আদেশ নং-২৭ মূলে জাতীয়করণ করা হয় এবং এর সার্বিক পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসি’র কাছে ন্যস্ত করা হয়। বিটিএমসি’র বর্তমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় মিলের ১.৩৬ একর জমি বিক্রির জন্য বিটিএমসি প্রস্তাব করে।

জানা গেছে, এর আগে গত ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর তারিখে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ওই সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিটিএমসি’র বর্তমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন টাঙ্গাইল কটন মিলস লি. এর ১.৩৬ একর জমি বিক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে বর্তমান কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

বৈঠকে অপর এক প্রস্তাবে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট কার্ড ও পার্সোনালাইজেশন, ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা মুদ্রণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর সহায়তায় সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের লট-১ এর আওতায় মোট ১ কোটি ৫৩ লাখ ৪১ হাজার স্মার্ট কার্ড ৪৯ কোটি ৫৫ হাজার টাকায় পার্সোনালাইজেশন করে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। লট-২ এর আওতায় ২৫.৫০ লাখ স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন মুদ্রণ কাজ পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর কাছ থেকে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

প্রতিটি পার্সোনালাইজেশন স্মার্ট কার্ডের ব্যয় ৩১.৯০ টাকা। বর্ণিত ২৫.৫৯ লাখ কার্ডের মধ্যে ২.৫০ লাখ কার্ড ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখার সংস্থান থাকলেও এক্ষণে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দদ্বয় এর পরিবর্তে সাধারণ স্মার্ট কার্ড এর ন্যায় পার্সোনালাইজেশন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া বৈঠকে হরিপুরে ১০০ (১০% কম-বেশি) মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বার্জ মাউন্টেড পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের জন্য প্রকল্পের স্পন্সর কোম্পানি স্মিথ কো-জেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রা.লি. এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)-এর সঙ্গে বিরোধীয় বিষয়ে স্পন্সর কর্তৃক কোম্পানি ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক কোর্ট ফর দি ডিস্ট্রিক কোর্ট আব কলম্বিয়ায় জারি করা মামলা আদালতের বাইরে মেডিয়েশনে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে সমঝোতা ও বর্ণিত পরিমাণ মার্কিন ডলার সংস্থানের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর