প্রকাশিত:
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪২
চট্টগ্রাম টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই সেশনে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছে রোডেশিয়ানরা। কিন্তু শেষ বিকেলে তাইজুলের স্পিন জাদুতে স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে টাইগাররা। এরপর ব্যাটিং নামে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলামের সঙ্গে এনামুল হক বিজয়ের জুটি পার করে দলীয় শতরান। লাঞ্চের আগে এই জুটি বাংলাদেশকে বেশ স্বস্তি দেয়। কিন্তু লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা।
২০২২ সালের পর প্রথমবার টেস্টে শত রানের ওপেনিং জুটি পেল টাইগাররা। এদিকে চলমান টেস্টে নিজের শতকের দেখা পেয়েছেন সাদমান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান। সাদমান ইসলাম ১২০ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন। বিজয় ৩৯ ও মমিনুল ৩৩ রান করে সাজঘরে হাঁটা দেন।
দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয় ৩৯ রানে আউট হওয়ার আগে তাকে সাথে নিয়ে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন সাদমান। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এটি ১৫তম শতরানের পার্টনারশিপ। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে তারা ২৩ রানে পিছিয়ে আছে। ১২০ রানে সাদমান তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে বেনেটের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে ফেরেন। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ২ রানে এবং মুশফিকুর রহিম ৯ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই রোডেশিয়ান ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কুরান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ৩৩ বলে ২১ রান করে অভিষিক্ত তানজিম সাকিবের প্রথম শিকার হন বেনেট। ৫০ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন কুরানও।
চতুর্থ উইকেটে নিকোলাস ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস। ১০৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ওয়েলচ। এরপর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর ১১৪ বলে অর্ধশতকের দেখা পান উইলিয়ামস।
১৬৬ বলে ৬৭ রান করে উইলিয়ামস আউট হলে খেলায় ফেরে টাইগাররা। মাঝে ওয়েসলি মাধেভেরেকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন টাফাডজোয়া সিগা। কিন্তু মাধেভেরে ১৫ রান করে আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (৬), রিচার্ড এনগারাভা (০), ভিনসেন্ট মাসেকেসা ৮ রানে আউট হলেও শেষ দিকে আবারও পিচে আসেন নিকোলাস ওয়েলচ। ৫৪ রান করা এই ব্যাটারকে দিনের শেষ বলে আউট করে নিজের ফাইফার তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। এতে প্রথম দিনের ৯০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাইম হাসান দুটি এবং অভিষিক্ত তানজিম সাকিব শিকার করেন এক উইকেট।
মন্তব্য করুন: