বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মোবাইলের আলোতে সেবা দিচ্ছেন নার্স, রোগীদের ভোগান্তি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪৭

সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকার কথা থাকলেও জামালপুরের ইসলামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ ছিল না হাসপাতালটিতে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের নারী, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডসহ ভবনটির বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। তবে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কেউ না থাকলেও একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছিল। অপরদিকে নার্সদের কক্ষেও একটি বাতি জ্বলতে দেখা গেছে।

ভিডিওটি করেছেন গুঠাইল এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেন সালমান। তার বোনের পেটে ব্যথা নিয়ে রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে যান তিনি। পরে তার বোনকে ভর্তি করে বেডে দিলে এমন চিত্র দেখেন তিনি।

সাব্বির হোসেন সালমান বলেন, ইমার্জেন্সিতে কোনো ডাক্তার বা নার্স ছিল না। ইমার্জেন্সি ও নার্স রুমে আলো ছিল। আমারসহ বাকি রোগীদের স্বজনদের মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ যাওয়ার এক ঘণ্টা পর আবার এলেও এরই মধ্যে অনেক কষ্ট হয়েছে রোগীদের। এছাড়া রোগীদের স্বজনরা ও আমরা মিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। উল্টো নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা ধমক দেন।

তিনি আরও বলেন, যেখানে রোগীদের জন্য হাসপাতালে সব সময় বিদ্যুৎ থাকার কথা সেখানে লোডশেডিং হলে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকার কথা। এখানে তাও নেই। এটা তো দূরের কথা চিকিৎসকদেরও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। রোগীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান প্রায় সময় বিদ্যুতের এমন সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বলেন, 'আমাদের হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা আছে, তবে এতো রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে কে আসবে হাসপাতালে। জেনারেটরের অপারেটর নেই আর যিনি চালান তিনি ঈদের ছুটিতে ছিলেন। আর এতো রাতে তাকে কি ফোন দেওয়া যায়। এ বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ দেয়নি। দিলে দেখা যাবে।'

বিষয়টি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর