বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

রাজধানীতে ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৯ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫৬

রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ অনাদায়ে আসামিকে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিততে রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকের কোনো প্রকার ছাড় নেই। সকল ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহসও না পাই। আমরা আজকের এ রায়ে সন্তুষ্ট।

অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন রায়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার হবে এবং আসামি খালাস পাবেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক জোরপূর্বক তার প্যান্ট খুলে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর