বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন আজ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৭

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে উত্তরের সাড়ে তিন কোটি মানুষের আগ্রহের জায়গায় থাকা যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন করা হচ্ছে আজ। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগে একটি নতুন দ্বার খুলছে। দুই লেনের এই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য আধুনিক সুবিধা এনে দিয়েছে, যা দেশের রেলপথে দ্রুততার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে দাঁড়িয়ে থাকা ডাবল ট্র্যাকের সেতুটি শত বছর টিকতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা সেতু দুই লেনের হলেও, সেতুর দুই পাশে সিঙ্গেল লেন থাকার কারণে পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে না। তবে এই সেতুতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে সেতু পার হতে আগে যেখানে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হতো, সেখানে তা কমে এখন হবে মাত্র ৩ মিনিট। এ ছাড়া সেতুতে একযোগে দুই দিক থেকে ট্রেন চলাচল করতে পারবে, যা পূর্বে সম্ভব ছিল না।

আন্তর্জাতিক মালবাহী ট্রেন চলাচলের জন্যও নতুন এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা রেল সেতুর পুরোপুরি সফলতা পেতে প্রয়োজন আব্দুলাপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ডাবল লাইন। সেতুটি চালু করলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে দুই প্রান্তের সিঙ্গেল রেলপথ। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ১১৭ কিলোমিটার রেলপথটি সিঙ্গেল।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১৭০ কিলোমিটার পথ ছুটে চলে ৪০টি আন্তঃনগর, ছয়টি আন্তর্দেশীয় ও ১৮টি মালবাহী ট্রেনকে আর থেমে যেতে হবে না সিরাজগঞ্জের যমুনা পাড়ে। এতে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য সহজেই পৌঁছানো যাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানান, সেতুর দুই পারের রেলপথ ডাবল করার প্রকল্প রয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করা হয়েছে। দ্রুত বাস্তবায়ন করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

দুই প্রান্তের সিঙ্গেল ট্র্যাকের কারণে যমুনা রেল সেতুর পুরোপুরি সুবিধা পেতে দেরি হলেও সেতুটি নির্মাণের ফলে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) এবং যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, ‘আগে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেখানে ২০-২৫ মিনিট লেগেছে, নতুন যমুনা সেতু দিয়ে মাত্র আড়াই থেকে তিন মিনিট সময় লাগবে সেতু পার হতে। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের যমুনা রেল সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ১২০ কিমি বেগে দুটি ট্রেন পাশাপাশি চলাচল করবে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর