বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

চার দিন পর বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৬

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চারদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গতরাতে পুনরায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর বড় পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার রাত ১২টার পর থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।

চালু হওয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও তা থেকে আপাতত, প্রতিদিন ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। উৎপাদন হওয়া বিদ্যুৎ গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকেই জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এক নম্বর ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে ৮'শত থেকে ৯'শত টন কয়লার প্রয়োজন হচ্ছে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুদ রয়েছে।

তিনি জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন কয়লা ব্যবহার করে তাপ বিদ্যুৎকন্দ্রের বিদুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। কয়লাভিত্তিক এ বিদুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে মোট বিদুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট বিদুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগোওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন।

এদিকে ২ নম্বর ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। শুধু সচল ছিল ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট, যা থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু চালু ছিল এক নম্বর ইউনিটটি।

সেই ইউনিটে বয়লারে লিকেজ হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ করা হয়। ফলে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। বিদুৎকেন্দ্রটি চারদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর, মেরামত শেষে গতকাল শনিবার মধ্যে রাত থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক নিশ্চিত করে বলেন, “গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটে বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সচল ৩ নম্বর ইউনিটিও একই কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিট মেরামত শেষে গতকাল শনিবার মধ্যে রাত থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। তবে ৩ নম্বর ইউনিটটি মেরামত কাজ চলমান রয়েছে, আশা করা যায়, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি চালু করা সম্ভব হবে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর