বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

কাফনের কাপড় পড়ে সচিবালয়ে বিডিআর সদস্যরা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:৪৩

পুলিশের বাধা ভেঙে সচিবালয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে বিডিআর বিদ্রোহের আন্দোলনকারীরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

এরপরই দুপুর ১টায় পুলিশের বাধায় সচিবালয়ের সামনে রাস্তায় কাফনের কাপড় পড়ে শুয়ে পড়েছেন আন্দোলনকারী বিডিআর সদস্যরা।

প্রথমে তারা খাদ্য অধিদপ্তরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় প্রেবেশ করতে চাইলে পুলিশ জল কামান দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয় এলাকায় ঢুকে পড়ে তারা।

উল্লেখ্য, ছয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন বিডিআর সদস্যরা। এবার ছয় দফার সঙ্গে আরও ২ দফা যুক্ত করেছে সাবেক এই বিডিআর সদস্যরা। বর্তমানে তাদের ৮ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১। পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

২। ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রহসনের বিস্ফোরক মামলা বাতিল করা।

৩। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪। একইসঙ্গে জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।

৫। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।

৬। সব শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের লাশ পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে সঠিকভাবে শনাক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।

৮। পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহিদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারের সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর