বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

তিস্তার পানিতে আশার মুখ দেখতেছে কৃষকেরা

মোঃ নুরুজ্জামান সরকার রাসেল, নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:২৩

তিস্তা সেচ প্রকল্পে ১২ উপজেলায় বেড়েছে কমান্ড এরিয়া। সেচ সুবিধা পাবে ৫৫ হাজার হেক্টর জমি ভারতের সাথে তিস্তা পানি চুক্তি না হলেও নদীতে জমানো আর লিকেজ পানি দিয়েই ৫৫হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ইতোমধ্যে তিস্তার কমান্ড এরিয়ার ছোট বড় সব ধরণের খালে ছাড়া হয়েছে পানি। আর এই ভূ-উপরিস্ত তিস্তার উর্বর পানি পেয়ে খুঁশিতে বোরো ধানের চারা রোপন করছে চাষীরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবী, আগামী বছরের মধ্যেই তিস্তার প্রধান, সেকেন্ডারী, টার্সিয়ারী খালসহ ছোট বড় সব ধরণের খাল পূণ:খনন ও সংস্কার হলেই ১লাখ ৪হাজার হেক্টর জমিতে মিলবে সেচ সুবিধা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে টইটুম্বুর তিস্তার প্রধান খালসহ সেকেন্ডারী, টার্সিয়ারী আর ছোট বড় ধরণের খাল। এই পানিতেই উত্তরের রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ১২টি উপজেলায় ৫৫হাজার হেক্টর জমিতে দেয়া হচ্ছে সেচ সুবিধা। ইতোমধ্যে ভূ-উপরিস্ত তিস্তার উর্বর পানি দিয়েই রোপন করা হচ্ছে বোরো ধানের চারা।

নীলফামারী সদরের রামনগর ইউনিয়নের চাঁদেরহাট বিশমুড়ি এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, এ বছর জমিতে আগাম পাওয়া যাচ্ছে তিস্তার পানি। আমরা বোরো ধানের চারাও রোপন করতে শুরু করেছি। টার্সিয়ারী ও সেকেন্ডারী খালগুলো সংস্কারের ফলে পানির অপচয়ও কম হচ্ছে। আর এই পানিতে আবাদ করলে সেচ পাম্পের চেয়ে খরচ অনেক কম হয়। এছাড়াও এই পানি উর্বর হওয়ায় সারও কম লাগে। এতে অর্থ সাশ্রয় হয়।

তিস্তা কমান্ড এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন, সেলিম হোসেনসহ অনেক কৃষক বলেন, তিস্তার পানিতে উৎপাদন খরচ যেমন কম, তেমনি এই পানির উর্বতায় রাসনিক সারও হয় সাশ্রয়। তবে শেষ পর্যন্ত পানি পাওয়া গেলে বাড়বে উৎপাদন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় পানির প্রাপ্যতা বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার কমান্ড এলাকায় এবছর বাড়ানো হয়েছে ১০হাজার হেক্টর জমি। তিস্তার জমানো পানি আর চোয়ানো পানি দিয়েই পুরো মৌসুমে সফলভাবে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও তিস্তার ভূ-উপরিভাগের পানি দিয়ে সেচ দেয়ায় ফলে এ অঞ্চলের ভূ-গর্ভের পানির স্তর রিচার্জ হয়ে অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। সেচ পাম্প বসিয়ে এই পানি থেকে সহজেই পাওয়া যাবে সেচ সুবিধা। সেই সাথে রক্ষা পায় পরিবেশের ভারসাম্যও।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, গত বছর তিস্তার কমান্ড এলাকার ৪৫হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকেরা সেচ সুবিধা পেয়েছে। এবছর তা বাড়িয়ে চলতি বোরো মৌসুমে ৫৫হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। তবে পুরো বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে সরকারের সাশ্রয় হবে আট থেকে দশ কোটি টাকার ডিজেল ও সার। আর এ থেকে বাড়তি ফসল উৎপাদন হবে ২৬হাজার মেট্রিক টন ধান। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯০কোটি টাকা। যা জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর