রবিবার, ১৫ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

ট্রেন চলাচল বন্ধে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩২

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্টেশনে আজ চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

এদিকে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ঘোষণার পর থেকে স্টেশন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।



অপরদিকে অধিকাংশ যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকায় ও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ট্রেন না পাওয়ায় তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কমলাপুর স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে সকালে স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গতকাল রাত ১২টা থেকে ট্রেনের রানিং স্টাফরা কর্ম বিরতিতে গিয়েছে। এর ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমরা গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করি। সে আলোচনায় আমাদের সঙ্গে রেলের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। তাদের দাবিগুলো ইতোমধ্যে আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি তাদের দাবিগুলো বহুল অংশ পূরণ করা হয়েছে এবং এখনো কিছু দাবি বাকি আছে।

 

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেজন্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও কোনো যাত্রী যদি স্টেশনে আসেন তাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে করে রেলের যে রুটগুলো আছে সেখানে যাত্রীরা যেতে পারেন।

তিনি বলেন, স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা আছে। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করব এবং অর্থ বিভাগেও তাদের এই দাবি দেওয়া নিয়ে আলোচনা করব। তবে এটা দুঃখজনক যে এতগুলো যাত্রীকে জিম্মি করে এ ধরনের কর্মসূচি করা। এতে সাধারণ মানুষই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।

তিনি বলেন, স্টাফদের যে দাবি মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি তা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। তাদের এই দাবির অনেক অংশ আমরা ইতোমধ্যে পূরণ করেছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি। রেলওয়ে তো কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এখানে আলোচনার সুযোগ আছে। রেল বন্ধের ফলে কিন্তু সরকারের অসুবিধা হচ্ছে না, অসুবিধা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। আমরা চাই এর সমাধান দ্রুত হোক। কারণ সামনে ইজতেমা আছে।

এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনে যাত্রীদের জন্য দশটি করে মোট ২০টি গাড়ি প্রস্তুত আছে। প্রয়োজন হলে বাস আরও বাড়ানো হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর