শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

প্রচণ্ড শীতে বিপন্ন নীলফামারীর মানুষের জনজীবন

মোঃ নুরুজ্জামান সরকার রাসেল, নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:০০

সারা দেশের মতো ঠাণ্ডার প্রভাব বেশি পরেছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে। দিনের বেলায় কুয়াশায় ঢাকা থাকে, বিকেল হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় হিমেল হাওয়ার ফলে বদলে যায় দৃশ্যপট। নীলফামারী জুড়ে এবার শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। সকালে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

শীতের সময় সকাল ও বিকেলে ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার কারণে চলাচলে ঘটছে বিঘ্নতা। সন্ধ্যার পরে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা মিলছে শীতের পোশাক জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।

কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ শীতকালীন গরম পোশাকের দোকান। শীতের আগমনে শীতকালীন পিঠাপুলির দোকানে আগুন তাপার ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিছুটা উষ্ণতার আসায় চায়ের দোকানে ভিড় করছে মধ্য বয়স্কের মানুষরা। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় শীতের পোশাকের আকুতি জানান কয়েকজন বয়োবৃদ্ধারা।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের সকালে খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। একসাথে বসে গল্প আড্ডায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে অনেকে। চাঁদর মুড়ি দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে মজিবর বলেন, 'বাবারে যে এনা চলাচল করতে পাচ্ছনু শীত আসাতে তাও বন্ধ হয়ে গেছে। শীতের কারণে কোথাও যাওয়ার পাচ্ছোনা। সকালে আর বিকালে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করো। রাইতোত অনেকগুলো ক্যাথা গায়ে দেও তারপরও কেন জানি হাঁটু কাঁপা-কাঁপি করে।'

চায়ের চুমুক দিতে দিতে বাপ্পী বলেন, মামুরে গ্রামে যে ঠাণ্ডা। ঢাকায় থাকাকালীন এত ঠাণ্ডা পাই নাই। রাতে এখন যে শীত, তাতে মনে হচ্ছে এবার শীতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। শীতার্ত মানুষের আরও জানায় অনেকেই শীত বস্ত্র বিতরণ করলেও তা শীতার্ত মানুয়ের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর