শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

পরিবেশ উপদেষ্টা

বায়ুদূষণ হতে কষ্ট লাঘবে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৩

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ধুলা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগণের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে সরকার। তবে জ্বালানির মান উন্নয়ন ও রিফাইনারি আধুনিকায়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে সময় ও প্রচুর অর্থ প্রয়োজন।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে "এয়ার কোয়ালিটি রিসার্চ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল পলিসি ডিসকাশন " শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার প্রথমবার মন্ত্রিসভায় বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং বর্জ্য নিষ্পত্তির অভ্যাস উন্নয়নের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই বর্ষায় ঢাকার রাস্তার ডিভাইডারগুলো ঘাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ ও বিআরটিএ’র সঙ্গে যৌথভাবে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স অ্যাকশন গ্রুপ তৈরি করেছে, যারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তা মেরামতসহ ধুলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অ্যামি ক্যাস।

সেমিনারে কী-নোট উপস্থাপন করেন উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেমস জে. স্কাওয়ার, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. বেঞ্জামিন ডি ফয় এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জিল বুমগার্টনার। তারা বিশ্বব্যাপী বায়ু মান ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী পদ্ধতি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ধারা ও সুপারিশ তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ড. জাহিদুল কাইয়ুম, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামিহা নাহিয়ান, বুয়েটের শহীদ উজ জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. জিয়াউল হক।

সেমিনারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হয়। এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে সুপারিশ তুলে ধরা হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর