বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে আদালতে নেওয়া হলো সাবেক খাদ্যমন্ত্রীকে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৮

জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরের কনকনে শীতে সকাল ৯টার আগেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৫ জনকে।

এরপর তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে কামরুল, পলক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৫ জনকে মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া আর বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে সরাসরি আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আদালতের সিঁড়ি দিয়ে তোলার সময় বাঁধে বিপত্তি।

আদালতের এজলাসে লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ তলায় তোলা হয় তাদের। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামরুল ইসলাম। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে চেঁচামেচি শুরু করে দেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, আদালতে এলেই তিনি পুলিশ-আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া করেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কামরুল বলেন, ‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? এত উপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন?’ জানতে চেয়ে একপ্রকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এ সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আইনজীবীরা বলতে থাকেন, আদালতে আপনারা লাগাইছেন তো নষ্ট লিফট। এরপর বৃদ্ধ কামরুলকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন।

অন্য আসামিদের মধ্যে পলক, চৌধুরী মামুনসহ যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম কবিরাজ ও আবুল হোসেন নামে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে স্বাভাবিকভাবে মলিনমুখে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এরপর শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত আসামিদের বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে শুনানি শেষে কামরুল ইসলামকে আদালতের লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, আর আদালতে এলেই তিনি পুলিশের সাথে ঝগড়া করেন। কখনো আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধান। আবার কখনো উচ্চবাচ্য বক্তব্য দেন। এটা উনার স্বভাবজাত অভ্যাস।

অন্যদিকে জুনাইদ আহমেদ পলকের আইনজীবী আফতাফ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কামরুল ইসলাম একজন বৃদ্ধ মানুষ। আজ আদালতের ২ তলায় শুনানির কথা ছিল। কিন্তু ৪ তলায় কোর্টে শুনানি হয়েছে। আসামিদের ভোগান্তি দেওয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।

এদিকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হন মো. আলী। এ ঘটনায় লালবাগ থানার একটি হত্যা মামলা তারা আসামি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর