রবিবার, ১৫ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

স্ট্রিট ফুডকে কেন্দ্র করে

কসবায় ভোজনপ্রেমীদের মিলনমেলা

মো: রাজিবুল ইসলাম ভূইয়া, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রকাশিত:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০০

প্রতিদিন বিকেল হলেই কসবা উপজেলার সুপার মার্কেট এবং আশেপাশের এলাকাগুলো রূপ নেয় এক মিলনমেলায়। ছোট থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই এলাকায় সমবেত হন। দৃশ্যটি দেখলেই মনে হয়, যেন কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনে মেলা বসেছে। বিশেষত ছুটির দিনগুলোতে মানুষের ভিড় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কসবা উপজেলার বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের উপজেলার মানুষও এখানে ভিড় করেন, ফলে জায়গাটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সুপার মার্কেট-পৌর মার্কেট থেকে শুরু করে কদমতলী পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে স্ট্রিট ফুডপ্রেমীদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় কসবা উপজেলায়। তাই এখানকার স্ট্রিট ফুড ব্যবসা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৫০-৬০টি অস্থায়ী দোকানে নানা ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে। সুস্বাদু জালমুড়ি, মিকচার, আলুর চপ, বেগুনি, বুটভাজা, চানাচুর ভাজা, ফুচকা, চটপটি, হালিম, বট-নুডলস, ছোলা-বাটুরা, সিদ্ধ ডিম, গ্রিল-নান রুটি, চিকেন ফ্রাই, চিকেন চাপসহ শতাধিক ধরনের খাবার পাওয়া যায়।

শীতকালে ভোরের কুয়াশামাখা সকাল এবং সন্ধ্যায় বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠাও বিক্রি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা থেকে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে মো. আশিক বলেন, "আমরা এখানে এসেছিলাম একটি কম্পিউটার ডেলিভারি দিতে। শুনেছি কসবায় অনেক ধরনের স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায়। তাই ভাবলাম যখন এসেছি, একবার টেস্ট করেই যাই।"

তাদের মধ্যে লাদেন নামের এক যুবক বলেন, "ছোলা-বাটুরা ও লুচি খাওয়ার পর বুঝতে পারলাম কসবায় স্ট্রিট ফুড সত্যিই অসাধারণ। অনেক ভালো লাগলো। আবার আসলে অবশ্যই খেতে যাব।" সৈয়দাবাদ গ্রামের সাদিয়া নূর বলেন, "আমরা প্রায় ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফুচকা ও চটপটি খেতে এখানে আসি। জায়গাটি আমাদের কাছে মেলার মতো মনে হয়। এখানে সবসময় মানুষের ভিড় থাকে। যেহেতু কসবা থানার কাছাকাছি, তাই কোনো ধরনের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। যখনই ইচ্ছা করে, পরিবার নিয়ে চলে আসি।"

ফুচকা-চটপটি ব্যবসায়ী মো. আরিফ বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, এখানে দোকান দিয়ে আমি প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারি। এই টাকায় আমার সংসার ভালোভাবেই চলে।" কসবা উপজেলার এই প্রাণবন্ত জায়গাটি শুধু স্থানীয় মানুষের নয়, আশপাশের এলাকার মানুষের কাছেও এক প্রিয় মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে।

 

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর