বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ফরিদা আখতার

ভারতের প্রোপাগান্ডাকে বাংলাদেশ ভয় পায় না

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২৭

বাংলাদেশকে নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার ও ভয় দেখাচ্ছে ভারত। তাদের এই প্রোপাগান্ডাকে বাংলাদেশ ভয় পায় না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘গণ-আকাঙ্ক্ষা, গণ-অভ্যুত্থান প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ভারত আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে ভয় দেখাচ্ছে। ভারত জুলাই আগস্ট ঠেকাতে পেরেছে? শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাখতে পেরেছে? তাহলে তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তবে তারা (ভারত) একটা ভালো করেছে, তারা সকল রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করেছে, এটা ধরে রাখতে হবে। সবাইকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে।

ধর্মীয় পরিচয়ে বিভাজন কেন? মানুষ পরিচয় তৈরি করতে হবে। আমাদের মানুষের সম্প্রীতি তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেছেন, তার দলের নেতাকর্মীরাও গোপনে রয়েছেন। তবে তাদের দোসররা কিন্তু রয়ে গেছে। তারা নানাভাবে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সংবিধান সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের চাপ আছে। তারা নির্বাচন চান। সেটা দিতেই হবে; কিন্তু যে রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে সংস্কার শুরু করেছি, সেটা তো আমাদের করতেই হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় না, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি; যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা যেন ক্ষমতায় না বসে, এটাই হলো সংস্কার। আমরা ক্ষমতায় না দায়িত্বে দেখতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে।

কৃষি একটি অবহেলিত খাত বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সব ফসলের হিসাব পাবেন, কিন্তু কৃষকের হিসাব নেই। ডিমের দাম বেড়ে গেলে আমদানির কথা বলা হয়; কিন্তু এতে কৃষকের ক্ষতি হবে। চালের দাম বাড়লে আমদানির কথা বলা হয়, আমরা ভাবি কি করে আমদানি না করে পারা যায়। সে পরিকল্পনা করা। মাছের ক্ষেত্রেও একই। গ্রামে গঞ্জের জেলে-মৎস্যজীবীদের তালিকার কথাও বলেছেন অনেকে।

ফরিদা আখতার বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় জমি ইজারা দেয়, মাছ চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য মন্ত্রণালয়। আমরা কত দিন থাকি জানি না, তবে যতদিন থাকি ততদিন চেষ্টা করব নতুন কিছু করার। ডিম যখন ঢাকায় আসে, তখন কারওয়ানবাজারে আসে সাত হাত পরিবর্তন হয়ে। সেখানে এক টাকা করে বাড়লেও কত টাকা বাড়ে দেখুন। এই চাঁদাবাজি এক মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ করা সম্ভব না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর