বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

গত বছর ৬৭% আবেদন মঞ্জুর, যুক্তরাজ্যে এ বছরো ঢুকলো ৩৩ হাজার অবৈধ অভিবাসী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৫

যুদ্ধ-বিগ্রহ, স্থানীয় সংঘাত অথবা অর্থনৈতিক কারণে প্রতিবছর কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের আশায় পাড়ি জমান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আশ্রয়ের প্রার্থীকে মোকাবিলা করতে হয় যুক্তরাজ্যকে।

আর অভিবাসীর ঢল নিয়ন্ত্রণে দেশটির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হলো ইংলিশ চ্যানেল।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েই অবৈধ অভিবাসীরা ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান। এই অভিবাসীদের চ্যানেল ক্রসিং করতে সহায়তা করে বিভিন্ন মানবপাচার চক্র। চক্রটি প্যাকেজ আকারে অভিবাসীদের নিয়ে চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করে।

ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পার করে এবছর ৩৩ হাজারের এর বেশি অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে।

লেবার পার্টি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ১১০ জন। এর আগে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৭৫৫ জন, আর ২০২৩ সালে ছিল ২৯ হাজার ৪৩৭ জন।

২০২৪ সালে ইংলিশ চ্যানেল পার করা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ছিল আফগান, ইরানি, সিরীয়, ভিয়েতনামি এবং ইরিত্রিয়ানরা; যার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি পুরুষ, যাদের ৪০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৯৯ হাজার সাতশ'রও বেশি মানুষ যুক্তরাজ্যে আশ্রযয়ের জন্য আবেদন করেছেন, আবেদন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে পাকিস্তানি, আফগানি, ইরানি, বাংলাদেশি, সিরীয় এবং ভারতীয়দের থেকে।

দেশটিতে আশ্রয় আবেদন সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত বেড়েছে, যা ২০২১ সালে ৪৫ হাজার ৩১৮টি থেকে ২০২২ সালে ৯২ হাজার ৭৭৬ এ পৌঁছায়। এবছর সেপ্টেম্বর শেষে, ৯৭ হাজার ১৭০টি আশ্রয় আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন। এই সময়ে, যুক্তরাজ্য ৮ হাজার ৫১৯ জনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত হিসাবে আশ্রয় আবেদনকারী দেশের তালিকায় যুক্তরাজ্য ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পঞ্চম স্থানে।

একই সময়ে জার্মানি সবচেয়ে বেশি আবেদন পেয়েছে, সেখানে আবেদন করেছে মোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭১০ জন। স্পেন দ্বিতীয় স্থানে, ১৬ লাখ ৩ জাহার ৭৫৫ জন। এরপর ফ্রান্স ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৯০ জন এবং চতুর্থ ইতালি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬০ জন।

২০২৩ সালে, যুক্তরাজ্য সরকার ৯ লাখ ৩৩ জাহার ০৩টি আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশের বেশি (৬৭ শতাংশ) আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। একই সময়ে, জার্মানি ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৩০টি আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার মধ্যে ৬২ শতাংশ মঞ্জুর হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর