বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৮

মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)'র ৪৬তম দিবস উপলক্ষে আনন্দ র‍্যালি, দিনব্যাপী আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব ও ছাত্রদল পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ। এসময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রভোস্ট পরিষদের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ড. আবুল কালাম আজাদ, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ও আল কুরআন বিভাগের সভাপতি ড. নাছির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চলনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) পরিচালক ড. জাকির হোসেন ও চারুকলা বিভাগের সভাপতি ড. কামরুল হাসান।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এইদিনেই শহীদ জিয়াউর রহমান আধুনিক ও ইসলামিক শিক্ষার সমন্বয় করে উন্নত শিক্ষা প্রসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চারটি বিভাগ নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন ৩৬ টা বিভাগ। এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি হাঁটিহাঁটি পা পা করে ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে। তবে প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আপনাদের চাওয়ার বাহিরে আমার চাওয়া নেই, বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনারা যেমন দেখতে চান, আমিও তেমন দেখতে চাই। আমার প্রধান কাজ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষা ও গবেষণায় অগ্রসর হওয়া।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে ভিসি পদ নয় বিশ্ববিদ্যালয়ই মূল্যবান। আমি নিজেকে ভিসি নয় সেবক মনে করতে চাই। আমি মনে করি এই সুযোগ আমাকে জুলাই আন্দোলন করে দিয়েছে। তাই আন্দোলনে স্পিরিট ধারণ করে শহীদের রক্তের ঋণের পরিশোধের জন্য কাজ করে যাব।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর