শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন,আতঙ্কে এলাকাবাসী

বিপ্লব হাসান হৃদয়, শরীয়তপুর

প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯

ধসে গেছে পদ্মা সেতু সংলগ্ন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পদ্মা নদী রহ্মা বাঁধের ১০০ মিটার। এতে আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন নদীর পাড়ের সাধারণ বাসিন্দারা।

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন এর মাঝিরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পদ্মা সেতু থেকে ১ হাজার ৭০০ মিটার দূরে বাধের ১০০ মিটার অংশের কংক্রিটের সিসি ব্লক নদীতে তলিয়ে গেছে। এতে এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিয়েছে। এতেকরে এলাকার পাচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে আছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

পাশাপাশি নদীর ওপারে পাইনপাড়া মাঝিকান্দি এলাকায় মফিজুল উলূম জামে মসজিদটি নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। মসজিদটি কাত হয়ে পরে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়াড পদ্মা নদী রহ্মা বাঁধ তৈরি করা হয় ২০১০-২০১১ সালে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন এর আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পযর্ন্ত যার দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার। বাঁধ নির্মাণ করতে ব্যায় হয় ১১০ কোটি টাকা। এতে নদী ভাঙন ও বন্যার হাত থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা।

পাইনপাড়া ও মাঝিরঘাট এলাকার স্থানীয়রা জানান,নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তলনের ফলে দেখা নিয়েছে এমন ভাঙন।
ভাঙনের ফলে বসতবাড়ি,মসজিদ,স্কুল,গাছপালা, ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে তারা অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধ এবং টেকসই
বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক নাগরিক সংবাদ কে বলেন, গত ৩ নভেম্বর থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলনের ফলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। আর এখানে নদীর চ্যানেলটা গভীর হয়ায় নদীর পানি নামার সময় ভাঙন দেখা দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তারা
ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন বন্ধে অতি দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করবো।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর