শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

ময়মনসিংহ সদরে সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও ছোট বড় গর্ত

ভোগান্তির শিকার লক্ষাধিক মানুষ

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত:
৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১২

বৃষ্টি হলে গর্ত আর গর্ত থাকে না, পরিণত হয় ডোবায়। ছোট-বড় গর্তে ভরা সড়ক। এসব গর্তে পড়ে গাড়ি চলে হেলেদুলে। খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ময়মনসিংহ সদরের শম্ভূগঞ্জ থেকে পরানগঞ্জ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের মাঝপথে চার কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও অসংখ্য ছোট বড় গর্তের কারণে সড়কের এমনই বেহাল দশা এখন। সংস্কারের দুই বছরের মধ্যেই সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন।

অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়কটি সংস্কার করায় দুই বছরের মধ্যে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বড় গর্তে জমে আছে পানি। দূর থেকে মনে হচ্ছে ডোবা। এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। মালবাহী গাড়ি যাওয়ার সময় কাদাপানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে আশপাশ। অটোরিকশা, ভ্যান ও রিকশা গর্তের কারণে সড়ক ছেড়ে আশপাশের দোকানঘরের পাশ ঘেঁষে চলাচল করছে। পুরো সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। অনেক জায়গায় পিচ উঠে গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদার ও এলজিইডির স্থানীয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই, দুই বছর ধরে সড়কের সংস্কার কাজ পড়ে থাকায় চার কিলোমিটারের বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় এসব খানাখন্দে পানি জমি পরিণত হয়েছে মরণফাদে। ময়মনসিংহ সদরে যেতে হয় ঘুরপথে। জরুরি রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ও কৃষিপণ্য পরিবহনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না অনেক কৃষক। প্রসূতিসহ জরুরি রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতেও শঙ্কা কাজ করছে। অথচ দুই বছরেও এলজিইডি এই চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ঠিকাদারের চুক্তিপত্র বাতিল করেই দায় সেরেছে।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, সদর উপজেলার শম্ভূগঞ্জ বাজার থেকে পরানগঞ্জ পর্যন্ত এলজিইডির ২০ কিলোমিটার সড়কের মাঝপথে, চর খরিচা থেকে জয়বাংলা বাজার ও চর ঈশ্বরদিয়া পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছিল গত ২০২২ সালে। ইটের খোয়া ফেলে সংস্কার কাজ শুরুর পরই লাপাত্তা হয় ঠিকাদার। ফলে গত দুই বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ। মাঝপথে সড়কের বেহাল দশায় এলাকাবাসীর ভোগান্তিকে অসহনীয় করে তুলেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে, ময়মনসিংহ এলজিইডির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত কবির ঠিকাদারের গাফিলতির দায় স্বীকার করে জানান, এরই মধ্যে টেন্ডার আহ্বানের পর নতুন ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না বলে জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর