বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ময়মনসিংহে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত:
১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৭

ময়মনসিংহ জেলার তিন উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন খেত। হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। এই দুই খাতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা কৃষি ও মৎস্য চাষিরা। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

ময়মনসিংহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সম্প্রতি বন্যায় তিন উপজেলার ৩১ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমির আমন ধান খেত নষ্ট হয়ে তলিয়ে গেছে পানিতে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকারও বেশী। এদিকে ময়মনসিংহ জেলার মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে, তিন উপজেলার ২৬ ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৯৪৬টি পুকুরের প্রায় ৫ হাজার ৩৪৫ টন মাছ ভেসে গেছে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার উপরে। বন্যার পানিতে ২ কোটি ১২ লাখ মাছের পোনা ভেসে গেছে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

বন্যায় তলিয়েছে ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের ডৌমঘাটা গ্রামের কৃষক কবির সারোয়ার সুজনের ৪০ একর ফিশারির মাছ ও দেড়'শ একর ফসলের ধান। তিনি বলেন,১৯৮৮ সালের পর এমন বন্যা আমরা কখনো দেখেনি। ৪০ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি, সেই সঙ্গে ধানও। কখনো ভাবতে পারিনি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে আমাদের। সরকার সহযোগিতা না করলে ঘুরে দাঁড়ানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়, আমরা অনেক চিন্তিত।

ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর' গ্রামের এক কৃষক জানান, ২০ কাঠা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলেন। প্রতি কাঠায় ৩ হাজার করে টাকা খরচ হয়েছে। আর এক মাস পরেই ধান পাকতে শুরু করত। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় সব শেষ হয়ে গেছে তাঁদের।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান কামু নাগরিক সংবাদকে বলেন, কৃষকদের পুনর্বাসন উপলক্ষে এলাকায় গিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। এখন সরিষা, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। ফসলের বীজ বিনা মূল্যে কৃষকদের দেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. নাসরিন আক্তার বানু নাগরিক সংবাদকে জানিয়েছেন, বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার উপরে। তাঁদের সহযোগিতার লক্ষ্যে পরামর্শের পাশাপাশি আমরা সহযোগিতা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জমা দিয়েছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর