শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

পাবিপ্রবি উপাচার্য

ক্রেস্ট কালচার বন্ধ করুন

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৪২

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল আয়োজিত প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাকে এখানে যে ক্রেস্টটা দেওয়া হয়েছে, এজন্য ৫০০ টাকা খরচ হলে, এটা আমাকে না দিয়ে এই টাকা একটা গরীব পরিবারকে দিলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। এবং পরিবারটির কোনো কাজে লাগত। ফুল, ক্রেস্ট কালচার বন্ধ করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব পছন্দ করিনা। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং গত ১৭ বছরে যারা গুম, খুন হয়েছেন তাদেরকেও স্মরণ করেন উপাচার্য।

অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরে দেশে কোনো সিস্টেম তৈরি হয়নি। দেশে একটা স্বৈরাচারী শাসন চলেছে। বিভিন্নভাবে অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতি একটা নতুন দেশ পেয়েছে। সেই দেশকে আমাদের সকলের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমি এখানে বসে দীর্ঘক্ষণ নানান সমস্যার কথা শুনেছি। কাউকে ডেকে এনে অভিযোগ করার কালচারও বন্ধ করতে হবে। হলের যে সমস্যাগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো কমন সমস্যা। এগুলো বলার কিছু নেই। শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা আমি হলে নিজে গিয়েই এক্সপ্লোর করব এবং সেগুলো সমাধান করব। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হতে আসিনি, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হতে এসেছি। প্রতিটি পরিবারে সমস্যা থাকবে, আলোচনার মাধ্যমে পরিবারের একজন সদস্য যেমন পরিবারের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করেন, আমিও সেটি করব। সময় নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। নতুন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এবার আমরা ব্যর্থ হলে দাঁড়াতে পারবেনা দেশ। জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা ও তোমাদের সেক্রিফাইজ করতে হবে। সৎ, ভদ্র ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, চেয়ারম্যান এবং শিক্ষকবৃন্দ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর