বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

জার্মান স্থল সীমান্তে পুলিশি নিয়ন্ত্রণ জোরদার, অখুশি প্রতিবেশীরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০৩

বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে সোমবার থেকে জার্মানির সব স্থল সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শুরু করল। এর আওতায় লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক সীমান্তে জার্মান পুলিশ নজরদারি শুরু করছে।

এর আগেই পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্স সীমান্তে এমন কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকেই অস্ট্রিয়ার স্থল সীমান্তে এমন ব্যবস্থা চালু আছে।

বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তের ফলে মুক্ত সীমানার শেঙেন চুক্তিকে হুমকির মুখে পড়েছে বলে সমালোচকরা মনে করছেন। তবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, নতুন এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও যেসব মানুষ নিত্যযাত্রী হিসেবে সীমান্ত পারাপার করেন, তাদের যানজটের সমস্যায় পড়তে হবে না।

আপাতত ছয় মাসের জন্য জার্মানি এই পদক্ষেপ চালু রাখবে। এক সপ্তাহ আগে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের কাছে নিয়ন্ত্রণের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন।

এভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অযোগ্য ও প্রবেশের ছাড়পত্রহীন আবেদনকারীদের সীমান্ত থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জার্মান সরকার আশা করছে। সরকারের মতে, তারা একবার জার্মানিতে প্রবেশ করলে বাস্তবে তাদের প্রত্যর্পণ অনেক জটিল ও কঠিন হয়ে ওঠে। ২০২৩ সাল থেকে জার্মানি প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে সেই কারণ দেখিয়ে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

এদিকে প্রতিবেশী দেশগুলো জার্মানির এমন সিদ্ধান্তের ফলে মোটেই খুশি নয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে জার্মানির ওপর এ কারণে আরো চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে অভিবাসনের বিষয়টিকে ঘিরে চরম বিতর্কের জেরে জোট সরকার এমন কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ অভিবাসন ও অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আরো পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। তিনি উজবেকিস্তান সফরে গিয়ে সে দেশের সঙ্গে এক বহুমুখী চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এর আওতায় একদিকে সে দেশ থেকে আইনি পথে দক্ষ কর্মীদের জার্মানিতে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।

পাশাপাশি জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে ব্যর্থ কিছু বিদেশিকে সে দেশে পাঠানো সম্ভব হবে। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের সঙ্গে শোলজ এমন বোঝাপড়ায় এসেছেন।

তবে এই চুক্তির আওতায় জার্মানি থেকে আফগান নাগরিকদের উজবেকিস্তানে পাঠানো হবে কি না, জার্মান চ্যান্সেলর সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি। তালেবান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় জার্মানি গত ৩০ আগস্ট কাতারের সহায়তায় কিছু আফগান অপরাধীকে সে দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। উজবেকিস্তানে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেজার বলেন, তিনি এমন আরো আফগান নাগরিককে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর