বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

শিক্ষককে অপমানের প্রতিবাদে ইবি'র সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৯ জন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত এবং বয়কট ঘোষণা করে রাতের আধারে টানানো ব্যানারে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয়'র নাম দিয়ে তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয় এবং মানববন্ধনে অংশ নেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা তন্ময় স্যারের অপমান, মানিনা মানবো না; তোমার স্যার আমার স্যার, তন্ময় স্যার তন্ময় স্যার; এসময় তারা জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; অপপ্রচারের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও; শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করো, মিথ্যাচার বন্ধ করো; শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মানি না মানবো না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষাগুরুকে অপমান করা হয়েছে, তাই আমরা আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়েছি। আমার শিক্ষক তন্ময় স্যারকে যে অপমান করেছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। তিনি ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাদের পাশে ছিলেন এবং বিভিন্নভাবে আমাদেরকে সহায়তা করেছেন। যারা এমন নেক্কারজনক কাজ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, আন্দোলনের সময় স্যার আমার খবর নিয়েছেন। আমি বাসা থেকে যে সাপোর্ট পাইনি সে সাপোর্ট আমাকে আমার স্যার দিয়েছেন। যে সমস্ত শিক্ষক আন্দোলনের সময় আমাদের পক্ষে দাঁড়ায় নাই, তাদের বিচার করা হোক। পাশাপাশি আমার স্যারের অপমান যারা করেছে তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমি চাই। সারকে অপমান করা মানে জুলাইয়ের প্রত্যেকটা আন্দোলনকারীকে অপমান করা কারণ তিনি আমাদের পক্ষে ছিলেন। শিক্ষকের এমনও অপমান চব্বিশের ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।

এছাড়াও আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরণের অপপ্রচার আমরা মেনে নিব না৷ কারোর যদি স্যারের নামে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সে সামনে এসে বলুক। স্যার যে আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এরকম কোন অভিযোগ আমাদের নাই বিপরীতে স্যার যে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন এরকম অসংখ্য প্রমাণ, স্যারের ফেসবুক পোস্ট আমাদের কাছে আছে। সবাইকে বলব যে শিক্ষকদের যোগ্য সম্মানটা দিতে শিখুন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর