শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন
  • মামলার চাপ কমাতে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ
  • দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪৫২ জন
  • মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সিভিল প্রসিডিউর কোড সংশোধন হচ্ছে
  • সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না
  • এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র
  • ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত
  • গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • শোক জানিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা ড. ইউনূসের

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ব্যানার টানানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০২

চব্বিশের গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মিঠুন বৈরাগীর নাম ও ছবি নিয়ে অবাঞ্ছিত ও বয়কট ঘোষণা করে বিতর্কিত ব্যানার টানানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে মিলিত হয়। এসময় তাদের হাতে মিঠুন স্যারের অপমান, মানিনা মানবো না; মিঠুন স্যার লাঞ্চিত কেন, জবাব চাই জবাব চাই; Stand with Mithun Sir ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। পরে প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনের সময়ে মিথুন স্যার আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছিলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। আমি যখন কুষ্টিয়াতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম তখন আমাকে ফোন দিয়ে মেডিকেল-খাওয়া দাওয়া সহ বিভিন্নভাবে সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন। এছাড়াও ডিপার্টমেন্টের সকল দাবি পূরণে শিক্ষক হিসেবে নয়, শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করেছেন। তিনি প্রশাসনিক একটি দায়িত্বে থাকার কারণে সরাসরি আমাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে না পারলেও সবসময় আমাদেরকে সাহস জুগিয়েছেন। যারা বিভিন্নভাবে স্যারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল যে এই কাজ করেছে তা নিশ্চিত। তাদেরকে চিহ্নিত করা হোক। একই ব্যানারে নিরহ শিক্ষককে হেনস্তা করা উচিত না। তবে যারা ৪ আগস্ট স্বৈরাচারীর পক্ষ হয়ে ক্যাম্পাসে শ্লোগান সহ শোডাউন করেছিল তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ ব্যাপারে প্রভাষক মিঠুন বৈরাগী বলেন, আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠে আমার নাম-ছবি দেখে হতবাক হলাম। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখতাম, তাদের সহযোগিতা করতাম। যেহেতু প্রশাসন নাই আমি কার কাছে গিয়ে বলবো। পাশে ছিলাম বলেই শিক্ষার্থীরা আমার পক্ষ হয়ে প্রতিবাদ করলো। তবে যে বা যারা এরকম কাজ করলো তাদের যেন একটু হলেও উপলব্ধি হয় সেটাই চাওয়া।

এদিকে গত ৫ জুলাই ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মিঠুন বৈরাগী নিজেই ভুক্তভোগী হওয়ার প্রসঙ্গ ফেসবুকে শেয়ার করে বলেছিলেন, “মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করতে কোটা পদ্ধতি বাতিল অথবা কোটা সংস্কার (সর্বোচ্চ ১০%) করা অতীব জরুরী। ব্যক্তিগত অভিমত- শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতির জন্য আমি নিজেও ভুক্তভোগী ছিলাম!”

উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিঠুন বৈরাগী-সহ কয়েকজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত এবং ক্লাস থেকে বয়কট ঘোষণা করে রাতের অন্ধকারে ছবি ও নাম সংবলিত ব্যানার টানানো হয়েছিল প্রধান ফটকে। পরে ব্যানার সরিয়ে ফেলেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা। তবে এর আগেই তিন শিক্ষকের নামের অংশ মুছে ও কেটে ফেলে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর