বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ক্ষোভের সৃষ্টি জনমনে

সোনাতলায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাইকর গাছ কর্তন

হারুন অর রশিদ,সোনাতলা (বগুড়া)

প্রকাশিত:
২৮ আগষ্ট ২০২৪, ১৬:২৪

বগুড়ার সোনাতলায় সরকারি জায়গায় একটি পাইকর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় স্থানীয় জনতার মাঝে। ফলে বিক্ষুব্ধ জনতা ন্যায় বিচারের স্বার্থে গণ স্বাক্ষর নিতে দেখা গেছে।

ঘটনাটি উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের আড়িয়াঘাট ব্রিজ সংলগ্ন বাজারে। পাইকর গাছ কর্তনকারী ওই বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা সদর ইউনিয়নের মন্ডমালা গ্ৰামের চান মিয়া (কসাই) এর ছেলে মোঃ রুহুল আমিন। পথচারীদের প্রখর রৌদ্রের খরতাপ থেকে একটু ক্লান্তির কথা ভেবে চরবিশ্বনাথপুরের গাছ প্রেমিক নয়া মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা ও জাফিরুল ইসলাম ফাঁকা জায়গায় ওই পাইকর গাছটি লাগিয়েছিলেন বলে দাবি তাদের। গাছটির নিচে পথচারী সহ রিক্সা ভ্যান চালক ছায়ায় ক্লান্ত শরীর জিড়িয়ে নিতো।

স্থানীয় অনেকেই জানান রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে বাজারে দাপটের সহিত গরুর মাংস বিক্রি করে আসছে। তবে গাছ কাটতে স্থানীয় অনেকেই বাঁধা দিলে রুহুল আমিন মাংস কাটার দা উঁচিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

প্রত্যক্ষদর্শী দু-তিন জন জানান আমরা ওই সময়ে গাছের কাছে যেতে সাহস পাইনি। পাশেই সবজি বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, রুহুল আমিন অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির তার সাথে প্রতিনিয়ত লোকজনের বাক-বিতণ্ডা লেগেই থাকতো। মধুপুরেরর সিরাজুল ইসলাম, চরচকনন্দন এর শহিদুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই প্রতিনিধিকে জানান, রুহুল আমিন কসাই সে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ ও রোগা গরুর মাংস বিক্রি করতো তবে এ বিষয়ে কিছু বললেই তাদের সাথে লাগতো ঝগড়া বিবাদ।

ফলে মাংস বিক্রেতা রুহুল আমিনকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গন স্বাক্ষর নেন স্থানীয়রা। পাইকর গাছ কাটা সহ দা উঁচিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো বিষয়টি স্বীকার করে রুহুল আমিন (কসাই) বলেন, এটা কোন ব্যাপার না একটি গাছ কেটেছি সেখানে দুটি গাছ লাগিয়ে দিবো। মধুপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গাছটি জব্দ করে নিজ হেফাজতে রেখেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, গাছটি সরকারি অধিগ্ৰহনকৃত জায়গায়। আমি জানতে পেরেছি স্থানীয় একজন কেটেছে তবে গাছটি জব্দ করার জন্য নায়েব কে বলেছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর