বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বন্যার্তদের পাশে ইবি শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও পূজা উদযাপন পরিষদ

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
২৫ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৫১

চলমান দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের একদিনের বেতন প্রদান করবেন এবং ইবি পূজা উদযাপন পরিষদ জন্মাষ্টমীর ব্যয় কমিয়ে তা বন্যার্তদের সহযোগিতায় ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা গণত্রাণ কর্মসূচি-সহ কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অর্থ সহয়তার জন্য বেরিয়ে পড়েন।

এদিকে শনিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ টি ভিন্ন বিজ্ঞাপ্তিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বেশ কয়েকটি জেলা সহসা প্রবল বন্যার কবলে পড়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। অগণিত মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও ওষুধের অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পর্ষদের ২৩-০৮-২০২৪ ইং তারিখের সভার আলোকে বন্যার্তদের সহায়তায় শিক্ষক সমিতির সম্মানিত সদস্যবৃন্দের এক দিনের বেতন কর্তন করে সমূদয় টাকা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপনার/আপনার বিভাগের কোনো শিক্ষকের আপত্তি থাকলে আগামী ০২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ প্রবল বন্যার কবলে পড়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। শিশুসহ অগণিত মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঔষুধের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সিনিয়র কর্মকর্তাগণের যৌথ সিদ্ধান্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন কর্তন করে সমুদয় টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো।

অপরদিকে ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্তগুলো হলো- যতটা সম্ভব কৃচ্ছ্রসাধন করে জন্মাষ্টমী উদযাপন করা এবং সেখান থেকে একটা অংশ বন্যার্তদের সাহায্যের ফান্ডে দেয়া হবে। পূজার দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হবে। পূজা মণ্ডপের সামনেও বক্স থাকবে, কেউ চাইলে পূজার দিন অর্থ সহায়তা দিতে পারবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস বলেন, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বন্যার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এখানে বিষয়টি হলো আমরা অর্থ দান করছি না। আমরা আমাদের ভাই বোনদের জন্য সমব্যথী। ওখানে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

ইবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের একদিনের বেতনের টাকা বন্যার্ত মানুষের সহায়তার জন্য দিব। আগামী মাসের বেতনের টাকা ছাড় হলেই আমাদের সমিতির ফান্ডে টাকা টা জমা করবো। এরপর ফান্ডের একটা চেক প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল বরাবর জমা দিয়ে আসবো। সবমিলিয়ে আনুমানিক ৭/৮ লক্ষ টাকা হবে। আশাকরি আমাদের সাহায্যটা তাদের উদ্ধারকাজে ও পুনর্বাসনে অবদান রাখবে।

ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনতো বন্যার শুরুর ধাপ। সারাদেশ থেকেই মানুষ অর্থ, শুকনো খাবার, পানি, স্যালাইন এগুলো নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের মূল স্ট্রাগলটা শুরু হবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর। আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারো আপত্তি থাকলে দুদিনের মধ্যে সেটা জানাতে বলেছি। আমাদের বেতন আসলে টাকাটা কর্তন করে প্রধান উপদেষ্টার ত্রান তহবিলে জমা দেওয়া হবে। তারা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হোক বা অন্য কোন মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে যেটা প্রয়োজন করবে বলে আশাবাদী।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর