বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

যশোরে শিশুপুত্রকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৪, ১৪:৪১

যশোরের ঝিকরগাছায় ১১মাস বয়সী শিশুপুত্রকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) ভোরে উপজেলার শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা জানাজানি হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন-ওই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ইমামুল হোসেন ও তার ১১মাস বয়সী শিশু ছেলে আয়মান হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৩) বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বামী ইমামুল হোসেন (২৮)। এর আগে, নিজের ১১মাস বয়সী শিশু সন্তান আয়মান হোসেনকে গলা টিপে অথবা মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করে সে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবেশী উজ্বল হোসেন জানান, সৌদি প্রবাসী ছিলেন ইমামুল। কয়েকবছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বড় ভাইয়ের শ্যালিকাকে বিয়ে করেন। রোববার স্বামীর সঙ্গে বিবাদ করে শিশুসন্তানকে রেখেই বাবার বাড়ি চলে যায় স্ত্রী। এ ঘটনার জেরে রাতে শিশু ছেলেকে হত্যার পরে আত্মহত্যা করে ইমামুল।

প্রতিবেশীরা আরও জানান, রোববার স্ত্রী চলে যায়। এদিন রাত ৮টার দিকে ইমামুল তার শিশু সন্তান আয়মান হোসেনকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। সোমবার সকাল ৭টার দিকে ইমামুলের মা রাহিমা বেগম তাকে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশে ছোট বাচ্চা মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন।

ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, রোববার বাবার বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমার বউমা আর ছেলে গণ্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট শিশুকে ফেলে রেখে বউমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মরদেহটি রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মরদেহ পড়ে রয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল হোসেন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে সে শিশুপুত্রকে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর