বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বিকেল থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নেওয়া শুরু হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:০৬

টানা ২৪ দিন পর আজ রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নেওয়া শুরু হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সংঘাতে পুড়ে যাওয়া দুটো টোলঘর বাদে বাকিগুলোতে স্বাভাবিক টোল কার্যক্রম থাকবে।

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান আজ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হাসিব হাসান খান বলেন, ‘বিকেল ৩টা থেকে স্বাভাবিক টোল কার্যক্রম শুরু হবে। যে দুটো টোলঘর পুড়েছে, সেগুলো আপাতত বন্ধই থাকবে।’

আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন দেওয়া হয়।

শত শত লোক টোলঘরে হামলা চালায়। একদল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি, সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড। আগুনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিকেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু করে। এই বাহনগুলোর এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। অনেকে সেদিন হেঁটেও ঘুরেছেন এক্সপ্রেসওয়েতে।

তবে টোল না থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগে দুদিনের মধ্যে রিকশা, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়। এই সময় ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, ট্রাক টোল ছাড়া চলাচল করে। আজ ১১ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত টোল ছাড়াই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল করে। তবে আজ বিকেল থেকে আগের মতো নির্ধারিত টোল দিয়ে চলতে হবে যানবাহনগুলোকে।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) বড় এই প্রকল্পে বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ডের একটি ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ ও নির্মাণকাজের মাধ্যমে অংশীদার।

প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন এই প্রকল্পে কর্মরত তাঁদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তবে থাই নাগরিকেরা এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছের কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। পুরো উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হাতিরঝিল-সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শেষ হয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এফডিইই কোম্পানি লিমিটেড নামের কোম্পানি গঠন করে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট। কোম্পানির অংশীদার তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১,৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহক প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর