বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

যেভাবে নিজেদের গ্রাম রক্ষা করেছে উপকূলের মানুষ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২৮ মে ২০২৪, ১৬:৩৮

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদ-নদীতে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বাড়লেও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্লাবন থেকে রক্ষা পেয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।

প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যেও স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীর বেড়িবাঁধের ওপর মাটির আইল দিয়ে জোয়ারের পানি বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় বেঁচে গেছে গ্রামের পর গ্রাম ও হাজারো মৎস্য ঘের।


স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলের নদ-নদী ছিল উত্তাল। এসময় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি পাঁচ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যা প্রবল আকারে আছড়ে পড়তে থাকে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের ওপর। এরই মধ্যে বেড়িবাঁধের ভাঙন ঠেকাতে ও বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় স্থানীয় লোকজন। এতে বেঁচে গেছে হাজারো মানুষের বসতভিটা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাউবো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করায় বেশির ভাগ বেড়িবাঁধ বড় জোয়ারের চাপ সামলানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।

গাবুরার হাফিজুর রহমান জানান, ঝড়ের দিন দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে পাঁচ থেকে সাত ফুট পানি বেড়ে যায়। ফলে ডুমুরিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে দেখে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী নদী রক্ষা বাঁধের ওপর মাটির আইল দিয়ে উঁচু করে দেয়। এতে এ যাত্রাই কোনো মতে রক্ষা পাওয়া গেছে।

একই কথা বলেন পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন আলম।
তিনি জানান, কপোতাক্ষ নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে পাতাখালি এলাকায় পানি প্রবেশের উপক্রম হয়। এসময় এলাকার লোকজন বেড়িবাঁধের ওপর মাটির আইল দিয়ে নিজেদের গ্রামকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমান জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণে গাবুরায় মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের সময় নদীতে ৫-৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে সেই তুলনায় ভাটায় পানি নামেনি। এজন্য বেড়িবাঁধগুলো একটু ঝুঁকির মধ্যে ছিল। অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানির প্রবেশের উপক্রম হয়েছিল। তবে কোথাও বাঁধ ভাঙেনি। এখন অবস্থা অনেক ভালো।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর