বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

জাবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল

আশরাফুল,জাবি

প্রকাশিত:
৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১২:১৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তি চেয়ে মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি মীর মশাররফ হোসেন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ও ছাত্রী হলগুলো হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এসময় পরিবেশে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘের সঞ্চালনায় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব চলছে। এটা এক দিনে তৈরি হয়নি। অনেক দিনের ফলাফল গতকাল মুস্তাফিজ দেখিয়েছে। একটা নবীন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে শুরুর দিন থেকেই শারীরিক ও মানসিক টর্চারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যেটার ফলাফল আজকের এই মুস্তাফিজ, সেও গণরুম করেছিল এবং এসব টর্চার সহ্য করে আজকে ধর্ষকে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনোই সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায় না বরং জিইয়ে রাখতে চায়।”


যারা ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে চায় তাদেরও এবার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেন এই শিক্ষার্থী।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। হল থেকে অছাত্রদের বের করা না পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে, ধর্ষকদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে, গণরুম উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতীতেও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে এরকম নিপীড়ককে, এবারও যদি সেটা করে তাহলে এই প্রশাসনকে টিকতে দেওয়া হবে না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, “এটা আমাদের নিজেদের লড়াই। এই গণরুম কালচারের কারণে আমাদের সম্ভাবনাকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করা হয়েছে। শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে ভোগ বিলাসের নামে মাদক তুলে দিয়ে এই ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। সময় হয়েছে ঘাতকের বিরুদ্ধে দাড়াবার, সময় হয়েছে কথা বলার। আমরা ধর্ষকদের কিংবা তাদের সহযোগীদের সামনে আঙুল তুলে বলব এটা অপরাধ, এটা করা যাবে না। এখন ভয় পেলে চলবে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”


এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- নাটক নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অর্না মজুমদার, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মনিকা ইয়াসমিন, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবীব।

মিছিলের শুরুতে কয়েকজন শিক্ষকও অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী ও অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর