বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

‌‘আমেরিকা যার বন্ধু হবে, তার শত্রু লাগে না’

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:৫৮

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের বেলা নাক গলায়। ইরানে শাহ পালভীর যখন পতন হয়, তিনি একটা কথা বলেছিলেন— আমেরিকা যার বন্ধু হবে, তার শত্রু লাগে না।

বৃহস্পতিবার রাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত লেটস টক-এ শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে সারাক্ষণ। তাতে আমার কিছু আসে যায় না। জনগণের শক্তিই হলো বড় শক্তি।

তার ভাষ্য, তিনি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা কারও সঙ্গে দেশের স্বার্থ বেচে, মানবতার সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা কখনো করেননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ গ্যাস। '৯৬ সালে অন্য কোম্পানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও গ্যাস উত্তোলন করে। তবে তারা গ্যাসটা বিক্রি করার কথা বললে, আমি আপত্তি করি। এর খেসারতও আমাকে দিতে হয়েছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে দেশের ভেতর আর বাইরের চক্রান্ত এক হয়ে গেল।

তিনি বলেন, আজকে মানবাধিকারের কথা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা তোলে। দুর্ভাগ্যের বিষয়টি হলো— নিজের দেশের দিকে তাকায় না। জাতিসংঘে আমি ফিলিস্তিনি ইস্যুটা তুলেছিলাম। ইইউতেও আমি যখন গেলাম, তখন খুব শক্তভাবে এই প্রশ্নটা তুলেছিলাম— ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীদের মারা হচ্ছে, এখন কেন সবাই চুপ? এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই-দুবার যুদ্ধ বন্ধের জন্য যে প্রস্তাব আসে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিল।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, আমেরিকায় মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তারা অন্য জায়গায় এসে খবরদারি করে। এই মোড়লিপনা যে তাদের কে করতে দিল, আমি সেটি জানি না। আমি এ বিষয়টি সবার আগে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছি এবং প্রতিবাদও করেছি। তারা আমাদের শ্রম অধিকার নিয়ে কথা বলে। তাদের ওখানে কর্মীরা একটা স্ট্রাইক করলে সবাইকে চাকরি থেকে বের করে দেয়। এতে তাদের কিছু আসে যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রকে একসময় খেসারত দিতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ইলেকশনের ব্যাপারে অনেক কথা বলে। যখন তাদের প্রশ্ন করা হয়— এই যে বিএনপি ট্রেনে আগুন দিয়ে মা, শিশু পুড়িয়ে ফেলল। এ ব্যাপারে তাদের মুখ বন্ধ। কোনো কথা বলে না। কাজেই এদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে এদের নিজেদেরই একসময় খেসারত দিতে হবে। এটি হলো বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার যুবক ইউক্রেনে জীবন দিয়েছে। রিফিউজি হয়েছে কত মানুষ। এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে— তাদের টাকা নেই, দিতে পারবে না, করতে পারবে না সহায়তা। তা হলে যুদ্ধটা বাঁধালো কেন? এই উসকানি তারা দিল কেন? রাশিয়ার এই আক্রমণ আমরা সমর্থন করিনি। জাতিসংঘে আমরা খুব হিসাব করে পা ফেলি। কারণ আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো— সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। কিন্তু ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের এক স্ট্যান্ড, আবার ওই দিকে ফিলিস্তিনি শিশুদের হাসপাতালে বোম ফেলা। সাধারণ মানুষকে বোমা ফেলে হত্যা করা বন্ধ না করে তারা ইসরাইলকে উল্টো আরও অস্ত্র কেনার টাকা দিচ্ছে। ইস্যুতে ইসরাইলকে তারা উল্টো আরও টাকা দিচ্ছে অস্ত্র কেনার জন্য। এদের মানবাধিকারের ডেফিনেশন, কী সেটিই আমরা বুঝলাম না। পৃথিবী মনে হয় এটা বুঝতে পারেনি। তবে সারা বিশ্বে এ ব্যাপারে সচেতন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর