বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

লক্ষ্মীপুরে মাদরাসাছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০৬

লক্ষ্মীপুরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অস্ত্রের মুখে সাইফুল ইসলাম (১৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহৃত সাইফুল বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে ও রমারখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। সে ছোট থেকে নানাবাড়ি দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামে বসবাস করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে ১৮-২০ জন লোক ঘটনাস্থল আসেন। তারা বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা ফাটায় ও বসতঘর ভাঙচুর চালান তারা। একপর্যায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাইফুলকে মারধর করেন তুলে নিয়ে যান তারা। এতে বাধা দিলে সাইফুলের মা রোজিনা বেগম ও বোন ফারজানা আক্তারকে মারধর করেন দুর্বৃত্তরা। তারা ঘর থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাইফুলের বোনের সোনার অলংকার ছিনিয়ে নেন। 
সাইফুলের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী জালাল বালাইশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যাক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমান নিয়েছিলেন। কিন্তু আনোয়ার পাঁচ মাসের মাথায় ওমান থেকে ফেরত আসেন। ফিরে এসে ওমানে যাওয়ার সময় জালালকে দেওয়া টাকা তিনি ফেরত চান। কিছুদিন পরপরই ওই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ওই ব্যক্তিই দুর্বৃত্তদের নিয়ে এসে বন্দুক ঠেকিয়া মারতে মারতে আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে। আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর