বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আয় বেড়ে ৫ গুণ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৪৩

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ১০ বছরে আয় বেড়ে ৫ গুণ হয়েছে, আর সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯ গুণ।

নির্বাচন কমিশনে ১০ বছর আগে দশম জাতীয় নির্বাচনের সময় এবং এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নুরুজ্জামান আহমেদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-১ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জমা দেওয়া তাঁর হলফনামায় দেখা যায়, নুরুজ্জামানের অস্থাবর সম্পদ বলতে ছিল সাড়ে ৮৬ হাজার টাকা মূল্যের কিছু ইলেকট্রনিকসামগ্রী ও আসবাব। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন।


টানা দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকার পর এবারও একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুজ্জামান। এবার জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, এক দশকের ব্যবধানে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৬ হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৪২২ গুণ। তবে ঘরে আসবাব ও ইলেকট্রনিকসামগ্রী ১০ বছর আগে যা ছিল, এখনো তা–ই আছে।

অস্থাবর বাড়লেও সমাজকল্যাণমন্ত্রীর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল ২৫ বিঘা কৃষিজমি, ২০ শতক অকৃষিজমি, ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের দালান ও ৩৫ বিঘা জমির মাছের খামার। তাঁর ২০২৩ সালের হলফনামা বলছে, তাঁর কৃষি ও অকৃষিজমি এবং মাছের খামার আগের মতোই আছে। তবে ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের সেই দালান নেই, কিন্তু ঢাকায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্লট রয়েছে।


হলফনামা বলছে, নুরুজ্জামানের বর্তমানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মোট অর্জনকালীন মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। যা এক দশক আগে ছিল ৪৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে তাঁর মোট সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯ গুণ।

এ সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৫ গুণ। ২০১৩ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ টাকা। কৃষি, ঘরভাড়া, ব্যবসা, সম্মানী ও মৎস্য খাত থেকে তাঁর এসব আয় হতো। ২০২৩ সালের হলফনামা বলছে, এখন তাঁর আয়ের খাত কৃষি, ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী। এসব খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩২ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ, তাঁর বার্ষিক আয় বেড়ে পাঁচ গুণের বেশি হয়েছে।

হলফনামায় দেখা যায়, প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার আগে, ২০১৩ সালে নুরুজ্জামান আহমেদের স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। তাঁর ওপর নির্ভরশীল অন্যদেরও আয় ছিল না। এখনো নেই। তবে ২০১৩ সালে তাঁর স্ত্রীর ৩২ হাজার টাকার মূল্যের অলংকার ছিল, যা এখন আর নেই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর