বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ঘর ছোট থাকার পরও ওপেন কিচেনের শখ?

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪১

গ্রামবাংলার রান্নাঘর মানে সেই তেল–চিটচিটে ভাব, কাঠ, ঘুঁটে, উনুনের ধোঁয়া আর লঙ্কা ফোড়নের ঝাঁজ। তবে সে রান্নাঘরের পাশের উঠানজুড়ে ছিল শিশুদের খেলাধুলা, পাটি পেতে মা-খালাদের কাঁথা সেলাই করা আর পরিবার–প্রতিবেশীর হরেক রকম গল্পের ডালা।

শহুরে রান্নাঘর অবশ্য সব সময়েই ঘরের একটা অংশে, নির্জন দ্বীপের মতন। সারা বাড়ির হইহল্লা থেকে যেন তা একেবারে বিচ্ছিন্ন। তবে সময় বদলাচ্ছে। পশ্চিমা দেশের আদলে আমাদের দেশেও ঢুকে পড়ছে ওপেন কিচেন ও মডিউলার কিচেনের ধারণা।


ওপেন কিচেনে টেলিভিশনে পছন্দের অনুষ্ঠান দেখতে দেখতেই সেরে নেওয়া যায় দিনের রান্না। সময় দেওয়া যায় পরিবারকে। বাড়ির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে তখন রান্নাঘর। তা ঘিরেই বসার ঘর ও খাবার গ্রহণের জায়গা। যেহেতু এ ধরনের রান্নাঘর ঘরের এককোণে নয়, তাই পরিবারের সবাই কমবেশি কাজ বুঝে নেয়, হাতে হাতে একসঙ্গে মিলেমিশে সেরে ফেলে কাজ। বাড়িতে অতিথি এলে যে শুধু নিজের ঘরটা গোছাত, তারাও রান্নাঘর গুছিয়ে রাখায় সাহায্য করে।

বাড়িতে মা হয়তো রান্নাঘরে ভারী হাঁড়িটা চুলা থেকে একা নামিয়ে রাখছে। তাতে তার কষ্ট হচ্ছে কি না বা সহায়তা লাগবে কি না, বোঝার উপায় থাকে না। ওপেন মডিউলার কিচেন কনসেপ্টে রান্নাঘরটা যথেষ্ট দৃশ্যমান থাকে। সেখানে যেকোনো সহায়তায় বাড়ির অন্য সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এগিয়ে আসতে পারে। অতিথি এলে অতিথিদের সঙ্গে গল্প করতে করতেই সেরে নেওয়া যায় রান্নাঘরের কাজ।



আমাদের রন্ধন–সংস্কৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের রান্নাঘরের কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। আমাদের রান্না মূলত বেশ মসলাদার হয়ে থাকে। অন্যদিকে পাশ্চাত্যে শুকনা খাবারের চলই বেশি। আমাদের মসলাদার রান্না ওপেন কিচেনের জন্য একেবারে ভালো নয়। খাবারের গন্ধ ও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ বেশ বড় অসুবিধা। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান দিতে পারে কিচেন হুড বা চিমনি। রান্নার ধোঁয়া আর গন্ধ খুব সহজে চিমনি শুষে নেয়। এতে ঘরের অন্যান্য অংশে রান্নার গন্ধ তেমন একটা যায় না।

তাই বাসা বেশ বড় হলেই ওপেন কিচেন করুন। যাতে আলো–বাতাস চলাচলের মাধ্যমে গন্ধ ও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। বেশি মসলাদার রান্না ভিন্ন আরেকটি রান্নাঘরে করতে পারেন।


ঘর ছোট থাকার পরও যদি ওপেন কিচেনের শখ থাকে? সে ক্ষেত্রে রান্নাঘরের দরজা রাখুন ফোল্ডেবল। দরজা ভাঁজ করে রাখলেই বসার ঘর বা খাবারের ঘরের সঙ্গে মিশে যাবে। আবার মসলাদার রান্নার ক্ষেত্রে দরজা বন্ধ করে ধোঁয়া, ঝাঁজ আর গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দরজা সরিয়ে দিলে হয়ে উঠবে বসার ঘর বা খাবার ঘরের অংশ, আর দরজা ভিড়িয়ে দিলেই হয়ে যাবে গতানুগতিক ক্লোজড কিচেন।

ওপেন কিচেন করা হলেও পাশাপাশি কিচেনের ওয়েট জোন এবং ড্রাই জোন আলাদা করতে হবে। থাকতে হবে স্টোরেজ বা প্যান্ট্রির পরিমিত স্থান। ওপেন কিচেনের সঙ্গে লাগোয়া খাবারের জায়গা করে নিন। ডার্ক কালারের আসবাব রাখতে চেষ্টা করুন; এতে রান্নাঘরের সরঞ্জাম কম ময়লা মনে হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর