বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

‘সেফটি ব্যবস্থাপনা না থাকলে ঋণ পাবে না’

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৯

প্রতিষ্ঠানে সেফটি ব্যবস্থাপনা না থাকলে সরকার কোনো প্রকার ঋণ দেবে না বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মিজানুর রহমান।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত স্ট্রেংথেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স (সুপার) প্রকল্পের কনসোর্টিয়ামের লার্নিং শেয়ারিং সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।


ডিজি বলেন, প্রতিষ্ঠানে সেফটি ব্যবস্থাপনা না থাকলে সরকার কোনো প্রকার লোন দেবে না। দ্রুতই সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে এবং ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেবে। দেশের উন্নতি অবকাঠামোগত নির্মাণে সব সময় সেফটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে ভূমিকম্প সহনীয় ঘরবাড়ি-স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জ্ঞান না থাকলের কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

উন্নতির সঙ্গে ঝুঁকিও বাড়ে, তাই ঝুঁকির বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যম যেকোনো উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে- যোগ করেন ডিজি।

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উন্নতমানের জানিয়ে তিনি বলেন, সিডর, মোখায় আমরা দেখিয়েছি আমাদের সক্ষমতা। আমরা ভূমিকম্প নিয়ে বেশি কিছু করতে পারি না। বিল্ডিং কোড না মেনে নিজেরাই ভূমিকম্পের ক্ষতি সৃষ্টি করি।

দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের পদ্মা সেতু চারশ বছরের ভূমিকম্প পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে ৭.৫ রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ ভূমিকম্প হতে পারে। এটা বিবেচনায় রেখেই পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। মেট্রোরেলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। দেশের উন্নতি অবকাঠামোগত নির্মাণে সব সময় সেফটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে হবে।

মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল দেশ। আমাদের নবীন ও তরুণরা যেন সেফটি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সবকিছু শিখতে ও জানতে পারে সেজন্য বিভিন্ন লার্নিং অ্যাপস ও গেমসের মাধ্যমে তাদের আগ্রহের জন্ম দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড পারপাস’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাম্পা গানচিকা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বেসরকারি সেক্টর ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (পিইওসি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন জরুরি তথ্য ও সেবা দেওয়ার জন্য এ বছর একটি ওয়েবপেজ চালু করা হয়েছে। পিইওসি স্বেচ্ছাসেবক এবং দুর্যোগের ঘটনাগুলোর একটি অনলাইন ডাটাবেসও তৈরি করেছে। ডেটাবেসগুলো পিইওসি ওয়েবপেজে প্রকাশিত হবে এবং ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (এনইওসি) সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইওসি আগুন, ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি সংক্রান্ত ১৫৮টি বিভিন্ন ঘটনার রিপোর্ট রেকর্ড করেছে। পিইওসি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সে বেসরকারি খাতের ২০৪ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া ১০৪ জনকে পিইওসির স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এস অপি) প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পিইওসি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সিমুলেশন অনুশীলন এবং মক ড্রিলও পরিচালনা করে। পিইওসি কোম্পানির ডাটাবেসে মোট ১ হাজার ৬৪০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে ১ জুন ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্ট্রেংথেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স (সুপার) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

এ প্রকল্পের লক্ষ্য ভূমিকম্প ও সংশ্লিষ্ট বিপদ বিবেচনা করে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ এবং তাদের নেতৃত্বের প্রচার করা। ইউরোপিয়ান সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশনস (ইকো) এ প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর