বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা
  • সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন
  • ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর কারিগরি শিক্ষা হবে মূল বিষয়
  • মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

লক্ষ্মীপুরে স্কুল ভবনে সন্ত্রাসীদের হামলা : পাঠদান অনিশ্চিত

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর 

প্রকাশিত:
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২৯

 

লক্ষ্মীপুরে জমির মালিকানার দ্বন্দ্বের জেরে রাতের অন্ধকারে দুইদফা হামলা চালিয়ে বিদ্যালয়ের ১০টি সেমিপাকা ও দুটি টিনশেড শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ও শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার পালেরহাট মডেল একাডেমিতে এ ভাঙচুর চালানো হয়।


এ সময় দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ভাঙচুর ও লুটপাটে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান মোরশেদ কামাল। মূলত জমির মালিকানা দাবি করে তোফায়েল আহমেদ ও আবু তাহেররা দলবল নিয়ে এ হামলা চালায়।


বিদ্যালয়ের প্রধান মোরশেদ কামাল ও তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, তাদের মা ফাতেমা বেগম এই জমির মালিক। ২০১৪ সালে এ জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপর থেকেই তাদের মায়ের চাচাতো ভাই তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহের ও খোরশেদরা জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বৈঠক হলেও তোফায়েলগং জমির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সবশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও বৈঠক হয়। সেখানেও তারা কোনো দলিল দেখাতে পারেননি।


এদিকে তোফায়েলগং দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করতে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। বাজারের একজন নৈশ প্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। তাৎক্ষণিক হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে শুক্রবার ভোরে আবারও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলবল নিয়ে ভাঙচুর চালায় তারা। এতে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান মোরশেদকে মারধর করা হয়। হামলাকারীরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ ১০টি সেমিপাকা, দুটি টিনশেড শ্রেণিকক্ষ, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে দুটি ল্যাপটপ ও শিক্ষকদের মাসিক বেতনের জন্য রাখা ১ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা।


শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত জানান, বৃহস্পতিবারও তারা ক্লাস করেন। এখন তাদের স্কুলটা ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। তারা কোথায় ক্লাস করবে। সামনে তাদের বার্ষিক পরীক্ষা। এ অবস্থায় ক্লাস করতে না পারলে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে।


অভিভাবক বেলাল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি এমনভাবে ভাঙচুর করেছে এখানে পাঠদান কর্মসূচি চালানো অসম্ভব। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানো ঝুঁকি মনে হচ্ছে।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল বলেন, দুইদফা হামলা চালিয়ে পুরো স্কুল ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ শিক্ষার্থীদের পাঠদান এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।


বক্তব্য জানতে তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহের ও খোরশেদ আলমের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিছ উজ জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল এসে ভাঙচুরের সত্যতা পাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর আমরা চলে গেলে ফের স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থল এসে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হামলাকারীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর